পর পর তিনটে মেয়ে হওয়ায় স্ত্রী ও সন্তানদের বিষ খাওয়ালেন বাবা

তিন বারই কন্যা সন্তানের জন্ম দেওয়ায় স্ত্রী ও মেয়েদের বিষ খাইয়ে হত্যার চেষ্টার অভিযোগ উঠল এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। ঘটনা মালদার গাজোলের গোসনিবাগ এলাকার। কীটনাশক খেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়ায় অর্পিতা মণ্ডল ও তাঁর এক মেয়েকে মালদা মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি করা হয়েছে। অভিযুক্ত দীপক মণ্ডলের দাবি, স্ত্রীর বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক ধরা পড়ে যাওয়ায় মেয়েদের বিষ খাইয়ে নিজে বিষ খেয়েছে সে।

প্রতিবেশীরা জানিয়েছেন, প্রায় ১২ বছর আগে দীপক ও অর্পিতার বিয়ে হয়। এর পর একে একে ৩টি মেয়ে হয় দম্পতির। মেয়ে হওয়ায় স্ত্রীর ওপর লাগাতার অত্যাচার করত দীপক। অত্যাচার চলত শিশুগুলির ওপরেও। রবিবার রাতে দম্পতির মধ্যে তুমুল বিবাদ হচ্ছিল। তখন ছোট ২ মেয়ে ছুটে এসে প্রতিবেশীদের জানায় বাবা মাকে বিষ খাওয়ানোর চেষ্টা করছে। প্রতিবেশীরা ছুটে গিয়ে দেখেন, অর্পিতা ও এক মেয়ে অসুস্থ অবস্থায় পড়ে রয়েছে। সঙ্গে সঙ্গে তাদের উদ্ধার করে মালদা মেডিক্যালে পাঠানো হয়।

বধূর বাবা জানিয়েছেন, মেয়ে হওয়ায় মেয়ের ওপর জামাই খুব অত্যাচার করত। মারধর – কুকথা কিছুই বাদ যেত না। মেয়েদের কোনও খেয়াল রাখত না ও। রবিবার রাতে খবর পাই মেয়েকে জোর করে বিষ খাইয়ে দিয়েছে।

অভিযোগ অস্বীকার করে দীপক জানিয়েছেন, বিবাদ হয়েছিল ঠিকই। তবে তার সঙ্গে মেয়ে হওয়ার কোনও সম্পর্ক নেই। স্ত্রীর সঙ্গে স্থানীয় এক সিভিক ভলান্টিয়ারের বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক রয়েছে। সেকথা আমি জেনে ফেলায় স্ত্রী মেয়েদের বিষ খাইয়ে নিজে আত্মঘাতী হওয়ার চেষ্টা করে।