পুজোর আগেই হবে রাস্তা মসৃণ, প্রয়োজনে রাতেও হবে কাজ, আশ্বাস KMC–র

কোনও রাস্তায় ছোট বড় গর্ত, আবার কোনও রাস্তায় উঠে গিয়েছে পিচ। সামনেই পুজো, ফলে রাস্তার উপর গাড়ির চাপ বেড়েছে। এই অবস্থায় দুর্ঘটনা এড়াতে অবিলম্বে রাস্তা মেরামতের আর্জি জানিয়ে কলকাতা পুরসভাকে চিঠি দিয়েছিল কলকাতা পুলিশ। সেই চিঠি পাওয়ার পরেই তৎপরতার সঙ্গে রাস্তা মেরামত করতে শুরু করেছে কলকাতা পুরসভা। পুজোর আর বেশি দেরি নেই। ফলে দ্রুতগতিতে কাজ করে পুজোর আগেই রাস্তা মেরামতের নির্দেশ দিয়েছিলেন কলকাতা পুরসভার মেয়র ফিরহাদ হাকিম। তবে নিম্নচাপ বাধা হয়ে দাঁড়ালেও পুজোর বহু রাস্তা মেরামত সম্পন্ন হবে বলেই পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে।

আরও পড়ুন: বৃষ্টিতে বাধা পাচ্ছে রাস্তা সারাইয়ের কাজ, পুজোর আগে কি শেষ হবে?

ফিরহাদ হাকিম বলেছিলেন, পুজোর আগেই রাস্তা মেরামত সম্পন্ন হবে। বিভাগের মেয়র পরিষদ অভিজিৎ মুখোপাধ্যায়ও জানিয়েছেন, বৃষ্টির ফলে কাজে হচ্ছে ঠিকই। তবে পুজোর আগেই কাজ শেষ করা হবে বলে তিনিও আশ্বাস দিয়েছেন। এর জন্য প্রয়োজনে দিনরাত কাজ করা হবে বলে তিনি জানিয়েছেন। উল্লেখ্য, ম্যাস্টিক নিষিদ্ধ করেছে জাতীয় পরিবেশ আদালত। এই অবস্থায় মেকানিক্যাল ম্যাস্টিক বাইরে থেকে নিয়ে এসে কাজ করা হচ্ছে। এর জন্য খরচও বেশি পড়ছে। প্রতি বর্গফুটে প্রায় ৩৫০ টাকার বেশি খরচ হচ্ছে। মেয়র জানিয়েছেন, পুজোর আগে পিচ দিয়ে রাস্তা তৈরি করা হবে। তারপরে পুজো হয়ে যাওয়ার পরে পিচ তুলে দিয়ে ফেলে দেওয়া প্লাস্টিক দিয়ে রাস্তা তৈরি করা হবে। ইতিমধ্যেই বক্সিবাগানে ফেলে দেওয়া প্লাস্টিক দিয়ে রাস্তা তৈরি হচ্ছে সেই রাস্তা খুব মজবুত এবং টেকসই হবে। এমনকী বৃষ্টির জলেও কিছু হবে না বলে পুরসভার তরফে জানানো হয়েছে।

যে সমস্ত রাস্তায় খানাখন্দ তৈরি হয়েছে তার মধ্যে রয়েছে ডায়মন্ড হারবার রোড, সার্দান অ্যাভিনিউ, গড়িয়াহাট ক্রসিং, তিলজলা রোড, ক্যামাক স্ট্রিট,বিজন সেতু, বাগবাজার বাটা এবং কলেজস্ট্রিট ও উল্টোডাঙ্গা ক্রসিংয়ের মতো গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা। বেশ কয়েকমাস আগে কলকাতা পুলিশের সঙ্গে পুরসভার অধিকারীদের একটি বৈঠক হয়েছে। সেই বৈঠকে রাস্তা সংস্কার করার বিষয়ে পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়। বৈঠকে যৌথভাবে রাস্তাগুলি পরিদর্শন করে খতিয়ে দেখার পর প্রয়োজন অনুযায়ী সেগুলি মেরামত করা হবে বলে সিদ্ধান্ত হয়েছিল।বৈঠকে কলকাতা পুলিশের ট্র্যাফিক বিভাগকে খারাপ রাস্তার তালিকা দিতে বলেছিল পুরসভা। সেই অনুযায়ী বেহাল রাস্তার তালিকা পাঠায় কলকাতা পুলিশ। তাতে এই ধরনের ৪০ টি রাস্তার তালিকা পাঠানো হয়। তারপরই মেরামতে হাত দেয় পুরসভা।