অর্পিতার সিনেমার পরিচালক ছিলেন খাদ্য দফতরের কর্মী! গল্প লিখেছিলেন এক আধিকারিক

রেশন দুর্নীতিকাণ্ডে নাম জড়িয়েছে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ অভিনেত্রী অর্পিতা মুখোপাধ্যায়। নেপথ্যে ‘ম্যানগ্রোভ’ নামক একটি বাংলা সিনেমা। যার প্রযোজনা করেছিলেন রেশন দুর্নীতি মামলায় অন্যতম অভিযুক্ত বাকিবুর রহমান। আর সেই ‘ম্যানগ্রোভ’ সিনেমার পরিচালক নাকি ছিলেন খাদ্য দফতরেরই একজন কর্মী। নাম সৌরভ মুখোপাধ্যায়। এদিকে সেই সিনেমার গল্প নাকি লিখেছিলেন খাদ্য দফতরের তৎকালীন অ্যাডিশনাল ডিরেক্টর পার্থসারথি গায়েন। (আরও পড়ুন: অর্পিতাকে নিয়ে ‘স্বপ্নে বিভোর’ ছিলেন পার্থ, তাতে ‘গঙ্গা জল’ ঢেলেছিলেন বালু!)

জানা গিয়েছে, ২০১৪ সালে বাকিবুর রহমান প্রযোজিত ‘ম্যানগ্রোভ’ সিনেমায় অভিনয় করেছিলেন অর্পিতা মুখোপাধ্যায়। সেই সিনেমায় দেখা গিয়েছিল রাখি সাওয়ান্ত, নাইজেলের মতো অভিনেতাদেরও। এই বিষয়ে সিনেমার পরিচালক সৌরভ জানাচ্ছেন, খাদ্য দফতরের তৎকালীন অ্যাডিশনাল ডিরেক্টর পার্থসারথি গায়েনের লেখা ‘ম্যানগ্রোভ’ পড়েছিলেন তিনি। গল্পটি তাঁর ভালো লাগে। তাই এই গল্প নিয়ে সিনেমা তৈরি করতে আগ্রহী হন তিনি। এর আগেও নাকি সিনেমা তৈরি করেছিলেন সৌরভ। আগের সিনেমাপ প্রযোজককে এই গল্প শোনান তিনি। তবে তিনি রাজি হননি এই সিনেমায় টাকা ঢালতে। পরে পার্থসারথিকে বিষয়টি জানান সৌরভ। তখন সেই আধিকারিকই বাকিবুরের কথা জানান সৌরভকে। এদিকে সৌরভ জানিয়েছেন, সেই সিনেমা তৈরির জন্য প্রাথমিক ভাবে ৭০ লাখ টাকা বাজেট নির্ধারণ করা হয়েছিল। পরে সিনেমা তৈরি করার সময় আরও ১০ থেকে ১২ লাখ টাকা অতিরিক্ত খরচ হয়েছিল।

এদিকে পরিচালকের দাবি, বাকিবুর এরপর আর সিনেমায় বিনিয়োগ করতে চাননি। এদিকে বাকিবুরের বিষয়ে বিশদে তিনি জানতেনও না। এদিকে বাকিবুর খাদ্য দফতরে এসে জ্যোতিপ্রিয়র সঙ্গে দেখা করতেন কি না, সেই বিষয়েও তিনি অবগত নন বলে জানান সৌরভ। এদিকে সিনেমা তৈরির সময় নগদে খরচ করা হয়েছিল কি না, সেই নিয়ে কিছু বলতে পারেননি পরিচালক। তাঁর কথায়, অত বায়োডেটা দেখে তো আর কাজ করা যায় না।

এদিকে ইডির তরফে জানানো হয়েছে, নানা ভাবে রেশন দুর্নীতির টাকা বাকিবুর ও অন্যান্যদের মাধ্যমে বিনিয়োগ করেছেন জ্যোতিপ্রিয়। এমনকী ঘনিষ্ঠদের নামে বহু নামি ও বেনামি সম্পত্তি কিনেছেন তিনি। সূত্রের খবর, কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা বাকিবুর রহমানের অন্তত ১০০ কোটির সম্পত্তির হদিশ পেয়েছে। নামে – বেনামে, আত্মীয়দের নামে এই বিপুল সম্পত্তি। এগুলি রেশন দুর্নীতির কালো টাকা সাদা করার জন্য করা হয়ে থাকতে পারে বলে অনুমান করা হচ্ছে। জানা গিয়েছে, অন্তত ৬টি সংস্থায় শেয়ার রয়েছে বাকিবুরের। সেই শেয়ার মিলিয়েই বাকিবুরের সম্পত্তি প্রায় ৫০ কোটি। নিউ টাউন, রাজারহাট, পার্কস্ট্রিটে একাধিক ফ্ল্যাট রয়েছে তার। বাকিবুরের একাধিক হোটেল, পানশালাও রয়েছে। বিদেশেও তার সম্পত্তি রয়েছে বলে খবর।