কাঁধে চিঠির বোঝা, ৯০ মিনিট অপেক্ষা অভিষেকের, দেখা করতে নারাজ প্রতিমন্ত্রী

১০০ দিনের কাজের বকেয়া আদায়ের জন্য দিল্লির দরবারে বাংলার প্রতিনিধিদল। তৃণমূলের নেতা মন্ত্রীরা দলে দলে সেই চিঠি নিয়ে হাজির দিল্লিতে। মঙ্গলবার দিল্লিতে কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে যান অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিকে তার আগেই কৃষি ভবনে গিয়েছিলেন রাজ্য়ের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। 

তবে শেষ পাওয়া খবর অনুসারে কাঁধে চিঠির বাণ্ডিল নিয়ে একেবারে নির্ধারিত সময় ৬টার সময় তাঁরা গিয়েছিলেন। এরপর তাঁদের ৯০ মিনিট অপেক্ষা করতে বলা হয়। এরপর সূত্রের খবর, প্রতিমন্ত্রী সাধ্বী নিরঞ্জন জ্যোতির দফতর জানিয়ে দেয় মন্ত্রী এখনই দেখা করতে চান না। 

কারণ হিসাবে বলা হয়েছে, ৫জন প্রতিনিধির বেশি তিনি দেখা করতে চান না। কিন্তু ভুক্তভোগীরাই তো আটজন রয়েছেন। তবে কীভাবে সম্ভব? তবে দেখা করার জন্য অনড় তৃণমূল নেতৃত্ব। 

এদিকে শুভেন্দু অধিকারী আগেই জানিয়েছিলেন, তিনিও চান না টাকা আটকে থাকুক। তবে ১০০ দিনের কাজে যে দুর্নীতি হয়েছে তার তদন্ত চাইছেন তিনি। 

এদিকে এদিন একাধিক ছবিতে দেখা যায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় একেবারে কাগজের বান্ডিল ঘাড়ে করে নিয়ে হাঁটছেন। এমনকী একাধিক তৃণমূল নেতা বকেয়া ফাইল একেবারে মাথায় তুলে ফেলেন। জব কার্ড হোল্ডারদের চিঠি নিয়ে তাঁরা কৃষি ভবনে যান। সন্ধ্যাতেই সেই বৈঠক শুরু হওয়ার কথা ছিল। তবে অভিষেক আগেই জানিয়েছেন, কৃষকদের বকেয়া পাওনা তিনি আদায় করে ছাড়বেন। তবে শেষ পর্যন্ত আলোচনা কোনদিকে যায় সেদিকেই তাকিয়ে রয়েছেন অনেকে। কিন্তু প্রতিমন্ত্রী দেখা করবেন কি না সেটাই প্রশ্নের। 

তবে এদিন যেভাবে কাঁধে জবকার্ড হোল্ডারদের চিঠির বান্ডিল নিয়ে অভিষেক কৃষিভবনে ঢোকেন তা দেখে হতবাক অনেকেই। এমন ছবি আগে বিশেষ দেখা যায়নি। কার্যত তৃণমূলের দিল্লি মিশন রাজনৈতিকভাবে কতটা এগিয়ে দেয় ঘাসফুল শিবিরকে আর কতটা কোণঠাসা করে বিজেপিকে সেদিকেও নজর অনেকের।