প্রথম মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে গ্রেফতার হলেন অরবিন্দ কেজরিওয়াল। অতীতে একাধিক মুখ্যমন্ত্রীকে গ্রেফতার করা হলেও ‘প্রাক্তন’ হওয়ার পরে তাঁদের তদন্তকারী এজেন্সির হেফাজতে বা জেলে কাটাতে হয়েছে। মাসদুয়েক আগেই ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার হেমন্ত সোরেনকে গ্রেফতার করেছিল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। তাছাড়া জয়ললিতা, জে লালুপ্রসাদ যাদব, এন চন্দ্রবাবু নাইডুদের যখন গ্রেফতার করা হয়েছিল, তখন তাঁরা প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন। আর মঙ্গলবার যখন কেজরিওয়ালকে গ্রেফতার করা হয়েছে, তখন তিনি দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী পদেই আসীন আছেন। এমনকী কেজরিওয়ালের দল আম আদমি পার্টি (আপ) তো বলে দিয়েছে যে জেল থেকে বসেই সরকার চালাবেন ‘নেতা’।
সেইসঙ্গে রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র করে কেজরিওয়ালকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে দাবি করেছে আপ। বৃহস্পতিবার রাতে দিল্লি আবগারি মামলায় কেজরিওয়ালকে গ্রেফতার করে বেরিয়ে যাওয়ার পরে আপ নেতা তথা দিল্লির মন্ত্রী সৌরভ ভরদ্বাজ বলেন, ‘এই অভিযানের সময় মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবনের সর্বত্র তল্লাশি চালানো হয়। নগদ স্রেফ ৭০,০০০ টাকা মিলেছে। সেটা ফেরত দিয়ে গিয়েছে ইডি। মুখ্যমন্ত্রীর ফোন বাজেয়াপ্ত করা হয়। তাঁকে গ্রেফতার করে নিয়ে যায় ইডি। পুরো তল্লাশি-পর্বে (তিনি যে দিল্লি আবগারি মামলায় জড়িত আছেন), সেরকম কোনও প্রমাণ মেলেনি। কোনও সম্পত্তির কাজ, কোনও আয়-বহির্ভূত টাকা মেলেনি।’
দিল্লির মন্ত্রী আরও বলেন, ‘যদি বিরোধী নেতাদের মধ্যে কোনও একজনকে ভয় পান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীজি, তিনি হলেন অরবিন্দ কেজরিওয়াল। উনি জানেন যে ভারতে যদি কেউ ওঁনার বিকল্প থাকেন, সেটা হলেন অরবিন্দ কেজরিওয়াল। আর আমি ফের বলতে চাই, ওঁরা অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে গ্রেফতার করতে পারতেন। ওঁনারা করলেন। কারণ ওঁদের হাতে আজ শাসন ব্যবস্থা আছে। দু’জনকে মুখ্যমন্ত্রীকে গ্রেফতার করেছেন। হতে পারে যে আরও কয়েকজনকে গ্রেফতার করতে পারেন।’
আরও পড়ুন: Arvind Kejriwal: দিল্লির মুখ্য়মন্ত্রীকে কেন গ্রেফতার করল ইডি? তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগটা ঠিক কী?
সেইসবের মধ্যেই রাতে কেজরিওয়ালকে ইডি অফিসে নিয়ে আসা হয়েছে। তারপর সাংবাদিক বৈঠক করে দিল্লির মন্ত্রী অতিশি বলেন, ‘কংগ্রেস এবং ভারত জোট আমাদের সঙ্গে আছে। আমরা একসঙ্গে মিলে গণতন্ত্রকে রক্ষা করব।’ সেইসঙ্গে তিনি বলেন, ‘দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে বেআইনিভাবে গ্রেফতারির বিরুদ্ধে আমরা সুপ্রিম কোর্টে আবেদন দাখিল করেছি। শুক্রবার সকালে সুপ্রিম কোর্টে মামলাটি উঠবে। আমরা আশা করছি যে গণতন্ত্রের রক্ষা করবে সুপ্রিম কোর্ট।’